মঠবাড়িয়ায় ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা, অর্ধশতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু
ইসরাত মমতাজ,মঠবাড়িয়া ।।
উপকূলীয় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শনিবার রাত ও রবিবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে ব্যাপক ফসলহানি ও গাছ চাপায় কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি অর্ধশতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটেছে।
ঝড় ও বৃষ্টিতে আমন ফসলের মাঠ তছনছ হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ফসলহানির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে ঝড়ের তান্ডবে গ্রামীন সড়ক ও মহা সড়কের দুই পাশের কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বলেশ্বর নদে অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষেতাছিঁড়া ও কচুবাড়িয়ার দুইটি পয়েন্টের বেড়ি বাধ ভেঙ্গে দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার মৎস্য খামারের অন্তত শতাধিক পুকুর ও আমন ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে আছে।
এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৪০ কিলোমটার বেড়িবাঁধ নদের প্লাবনে হুমকির মুখে রয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ রয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ঝড়ে উপজেলায় পাঁচ সহ¯্রাধিক কৃষক অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
ঝড় ও ভারী বর্ষণে আমন ধান ৭ হাজার হেক্টর, পান ৩০ হেক্টর, সরিষা ২ হেক্টর, ফল ও শাকসবজি ক্ষেতসহ ২০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষি দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী সর্বমোট ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
তবে কৃষকের কাছে এর ক্ষতির পরিমান দ্বিগুনেরও বেশী। এছাড়া উপজেলার মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের তোরে উপজেলার তিনটি গ্রামের শতাধিক মৎস্য খামার পুকুরের ঘের তলিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকার মাছের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমান এখনও পর্যন্ত সঠিক ভাবে নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) রিপন বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বসতি,কৃষি ও মৎস্য ও প্রাণি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন দপ্তরে ইউনিয়ন পর্যায় ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা নিরুপণ সম্ভব হয়নি।