প্রধান মেনু

স্বামী ও ভাবীরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায়

মঠবাড়িয়ায় পার্লার ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে খুন, স্বামী ও ভাবী গ্রেপ্তার

মঠবাবড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শাম্মিী আক্তার (৪০) নামের এক বিউটিপার্লার ব্যাবসায়ীকে স্বামী ও আপন ভাবী মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর সাথে আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে শাম্মি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে মায়ের দ্বিতীয় স্বামী শেখ সিরাজুস সালেকীন (৩৩) ও আপন মামি শিক্ষিকা আয়শা খানম (৫০)কে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

গ্রেপ্তারকৃত স্বামী শেখ সিরাজুস সালেকীন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহম্মদ আলীর পুত্র এবং আয়শা খানম শহরের কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র শিক্ষিকা ও পার্শবর্তী শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ব্যাংকার এমাদুল হকের স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানাযায়, শাম্মি ও সালেকিনের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বামী ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া আসেন। বিবাহ বাাির্ষকী উপলক্ষ্যে রবিবার (৭ আগস্ট) রাতে ভাবি আয়শা খানম তাদের থানাপড়ার ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। রাতের খাবার শেষে শাম্মি স্বামিকে নিয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের আলাদা রুমে ভাবি আয়শা খানম ঘুমান।

রাত তিনটার দিকে শাম্মি ঘুম থেকে জেগে স্বামিকে বিছানায় না পেয়ে রুম থেকে বের হয়ে ভাবির রুমে ঢুকে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এনিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায় স্বামি ও ভাবি দুজনে মিলে শাম্মির মুখ চেপে ধরে এবং দ’ুজনে মিলে শাম্মিকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরপরই সিরাজুস সালেকীন ও আয়শা খানমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হত্যা মামলা দায়েরের পর তাদের দ’ুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ইসরাত জাহান মমতাজ
মঠবাবড়িয়া (পিরোজপুর)
০১৭২৬১৮৪০৪৯






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*