মঠবাড়িয়ায় জাপা নেতাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বলেশ্বর নদে জেলেদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা আদায়ের ঘটনায় চ্যানেল আই টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ায় একেরপর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন শফিকুল ইসলাম নামে এক জাপা নেতা।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তুষখালী গ্রামের আইউব আলী সিকদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম রবিবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সদ্য জেল থেকে বেড় হয়ে মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিঁনি।লিখিত বক্তব্যে বলেন, জেলেদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ কারায় চ্যানেল আই টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করা সাবেক ইউপি সদস্য ছগীর মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান হাওলাদারের যোগসাজসে বিভিন্নভাবে তিনি হয়রানীর শিকার হয়ে আসছেন। গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় তুষখালীর মমতাজ মার্কেটের সামনে থেকে মঠবাড়িয়া থানার এসআই পলাশ চন্দ্র রায় তাকে থানায় ডেকে নিয়ে আসেন।
এ বিষয় শফিকুল ওসির কাছে কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন তোমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ রয়েছে। এসময় সফিকুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। শেষে শফিকুলের স্ত্রী ১৫ হাজার টাকা বাড়ি থেকে এনে পুলিশ কর্মকর্তাকে দেন।
এর কিছুক্ষণ পরে সাবেক ইউপি সদস্য ছগীর মিয়া ও তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার ওসির রুমে প্রবেশ করে। এসময় ওসি শফিকুলকে ছগীর হোসেন ও চেয়ারম্যানের কথামতো চলার নির্দেশ দেন। এতে শফিকুল প্রতিবাদ করলে ওসির সামনে ছগীর মিয়া শফিকুলকে মারধর করে। পরে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরেরদিন আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
টানা ২০ দিন কারা ভোগের পর জামিনে বেড়িয়া গত ২৫ আগস্ট শফিকুল বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষের বরাবরে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন থানায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। তিনি মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয় মঠবড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল, ঘুষ গ্রহণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি একটি মারামারির মামলায় শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়ে ছিলো।
ইসরাত জাহান মমতাজ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)