প্রধান মেনু

চেক চুরি করে বোনকে দিয়ে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

মঠবাড়িয়ায় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে এনজিও কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেনের অফিসে ঋণের বিপরিতে জমাকৃত চেক চুরি করে বোনকে দিয়ে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় ভুক্তভোগী ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেছেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ডাকদিয়ে যাই এনজিও এর সাবেক মঠবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল আলমের সাথে ঋণ গ্রহণের সময় তার পরিচয় হয়। পরে ওই কর্মকর্তার প্রস্তাবে তার আপন ভাগনি সাদিয়া আক্তরের সাথে তার ছেলে নাসির উদ্দিনের পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহ হয়। এর কিছুদিন পরে পূত্রবধূ সাদিয়ার গোপনে অন্য ছেলের সাথে পরকিয়া সম্পর্কের নগ্নছবি নাসিরের মোবাইলে পাঠায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তার ছেলে নাসির উদ্দিনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কর্মকর্তা নাজমুল আহসান ডাক দিয়ে যাই মঠবাড়িয়া শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাযেশে ঋণের বিপরিতে ব্যবাসায়ী খলিলুর রহমানের জমাকৃত চেক চুরি করেন। পরে ওই চেকদিয়ে তার বোন রেকসোনা এমদাদকে দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে চেক ডিজঅনার করে মামলা সাজায়। গত ১৯/০৫/২০২০ইং তারিখে প্রথমে একটি উকিল নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশ পেয়ে অফিসে জমাকৃত চেক অনুসন্ধান করে জানতে পারি রোকসানা এমদাদকে ডাকদিয়ে যাই অফিস ওই চেক গোপনে হস্তান্তর করে। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বর্তমান ডাকদিয়ে যাই কর্মকর্তা মো. শাহ আলম আমার জামানতকৃত চেকের হিসাব চাইলে সে সঠিক ভাবে কোন হিসাব দিতে পারেনি। বর্তমানে ডাকদিয়ে যাই অফিসে আমার ১২ টি চেক ও আমার ঋণ গ্রান্টারের ৬টি চেক মোট ১৮টি চেক জমা রয়েছে। বাকী চেক দিয়ে বিভিন্ন আদালতে চেক প্রতারণার মাধ্যমে আমাকে মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে ডাকদিয়ে যাই এর মঠবাড়িয়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান অভিযোগ অশি^কার করে বলেন, আমার ভাগনির সাথে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছিল সত্য। তবে তার অভিযোগ সত্য নয়।

ইসরাত জাহান মমতাজ
মঠবাড়িয়া পিরোজপুর






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*