প্রধান মেনু

প্রতিবাদে মানববন্ধন

মঠবাড়িয়ার তুষখালীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্য়ে আহত-১৫

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ।।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই দল সমর্থকের মাঝে বিরোধের ঘটনায় তুষখালী কলেজ ক্যাম্পাস ও সড়কে হামলায় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে হামলায় আহত কলেজ নৈশ প্রহরী খায়রুলকে (২৮) আশংকজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর পক্ষের আহত ইমরান ও রিফাত স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাকি আহত ১২জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এ হামলায় জড়িত সন্দেহে শনিবার সকালে তুষখালী ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিলন মোল্লাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পরস্পর একে অপরের ফুটবল সমর্থকদের দায়ি করেছেন।

হাসপাতাল ও আহত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট খেলা শেষে জেলা সদর থেকে মঠবাড়িয়া দলের সমর্থকরা গাড়িতে ফিরছিল। গাড়ি তুষখালী কলেজের সামনে পৌছাঁলে একদল অজ্ঞাত যুবক মোটরসাইকেল দিয়ে গাড়িটির পথরোধ করে।

এসময় গাড়িতে থাকা দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কলেজের সাইনবোর্ড, দরোজা জানালা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজের নৈশ প্রহরীসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
এদিকে কলেজ ও নৈশ প্রহরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ওই কলেজের বিক্ষুব্দ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শনিবার সকালে মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এতে সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বড়মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে।
তুষখালী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করেন, শুক্রবার বিকালে পিরোজপুর জেলা ষ্টেডিয়ামে পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশ নেয়া মঠবাড়িয়া উপজেলা দল। এ খেলায় পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ একাদশের সাথে তারা পরাজিত হয়ে ফেরার পথে কতিপয় সমর্থক ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত সদ্য এমপিও ভুক্ত হওয়া কলেজে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে এ হামলা দু:খজনক ও নিন্দনীয়। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, তুষখালী কলেজে রাতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*