বাগেরহাটে বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্র
এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট।।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের আল-হেরা আলিম মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেনীর ছাত্র নাইট গার্ড কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৯ জানুয়ারী) রাতে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের মা বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবারন, ভুক্তোভোগী ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) রাতে ওই ছাত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী শাহ আলম বলাৎকার করে। এসময় ওই ছাত্র চিৎকার করে উঠলে পাশে থাকা তার সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে ঐ স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পরের দিন সকালে বিষয়টি ওই ছাত্র তার এক সহপাঠিকে বলে। এসময় ওই সহপাঠি বিষয়টি তাদের বোর্ডিং পরিচালক জোহরা বেগমকে বলে। এসময় বোর্ডিং পরিচালক জোহরা বেগম ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে বিষয়টি কাউকে না বলতে ভয়ভীতি দেখায়। পরে জোহরা বেগম
নৈশ প্রহরী মোঃ শাহ আলমকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। শাহ আলম খুলনার রুপসা থানার রামনগর গ্রামের মোঃ শামসুর রহমানের ছেলে। এছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তবৃন্দ জানলেও তারা ওই নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে কৌশলে বিষয়টি এরিয়ে যায় এবং ওই ছাত্রের পরিবারকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেনি।
ওই ছাত্রের মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলের সাথে যে অপকর্ম করেছে এবং যে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে ওই মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের সাথে র্দূব্যবহার করেন এবং ওই ছাত্রসহ তাদের সহপাঠিদের একটি রুমে আটকে রাখা হয়। এছাড়া সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদ্রাসার বোর্ডিং পরিচালক জোহরা বেগম পালিয়ে যায় এবং তার মুঠোফোনটিও বন্ধ করে রাখে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান শেখ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি। কিন্তু ব্যাস্ততার কারণে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারিনি।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মোঃ খায়রুল আনাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘৃণিত কাজের সাথে যুক্ত ত্দন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।##