প্রধান মেনু

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আলোরকোল ডেস্ক ।।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেজা খাতুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একই সঙ্গে শিক্ষকদের ভাতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাঁচটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরই প্রেক্ষিতে জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার সাড়ে ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে বিদ্যালয়ের বরাদ্দের অর্থসহ প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেজা খাতুন।

এর মধ্যে পাঁচটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলমকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তের চিঠি পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেজা খাতুন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ডেকে তার পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাঁচটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলার ছনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। পাশাপাশি অন্য বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের টিএ/ডিএ বাবদ অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২০ জন শিক্ষকের প্রাপ্তি ও বিনোদন ভাতা উত্তোলন করে ৪০% পরিশোধ করে বাকিটা আত্মসাৎ করেছেন।

একই অর্থবছরে ১২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘বিজয় ফুল’ কার্যক্রমের বরাদ্দকৃত ৪৪ হাজার ৬৪০ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন রাফেজা খাতুন। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাতা উত্তোলনে ব্যর্থতা এবং পুনরায় বরাদ্দ মঞ্জুরির জন্য শিক্ষক প্রতি ৫০০ টাকা করে ২২ হাজার টাকা তুলেছেন। এছাড়া চিকিৎসা ছুটি, পিআরএল ও পেনশন মঞ্জুরি বাবদ শিক্ষকদের হয়রানি করেছেন তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেজা খাতুন বলেন, তিন বছর ধরে আড়াইহাজার উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছি। এ সময়ের মধ্যে উপজেলার সাড়ে ৮০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বলতে পারবেন না কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি। আমাকে আড়াইহাজার থেকে সরানোর জন্য একটি বিশেষ মহল ষড়যন্ত্র করে শিক্ষকদের দিয়ে অভিযোগ দিয়েছে।

জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলম বলেন, আড়াইহাজার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের চিঠি পেয়েছি। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে সবার উপস্থিতিতে তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*