প্রধান মেনু

পরমাণু সমঝোতা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চুক্তি: জন কেরি

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

সাবেক মাকিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি।

জন কেরি আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ইরানের সঙ্গে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠী এই সমঝোতায় সই করে। আমেরিকা ২০১৮ সালের মে মাসে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলেও সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সমঝোতার প্রতি সব সময় সমর্থন জানিয়ে এসেছেন।

জন কেরি আমেরিকার সিবিএস নিউজ চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটিন, চীন ও রাশিয়া এখন আমেরিকাকে ছাড়াই এ সমঝোতা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কারণ, এ দেশগুলো জানে, ইরানের পরমাণু সমঝোতা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য চুক্তি।  

সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প আমেরিকার সব মিত্র দেশকে উপেক্ষা করে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যান এবং এ সমঝোতার প্রতি মিথ্যাচার করতে শুরু করেন। জন কেরি ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু সমঝোতার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করার একই সময়ে একথাও বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচিত হলে তিনি আগের সমঝোতায় ফেরাকে যথেষ্ট মনে করবেন না; বরং বিগত সাড়ে তিন বছরের পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই সমঝোতায় অন্য সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। আমেরিকাকে ছাড়াই পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় এতে স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ওই তিন দেশ আমেরিকার রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি  স্বীকার না করলেও পরমাণু সমঝোতা থেকে ইরানের যে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল তা তেহরানকে দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরান ২০১৯ সালের ৮ মে পরমাণু সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিতে নিজের দেয়া কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে। প্রতি দুই মাস অন্তর এভাবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার পর গত ৫ জানুয়ারি তেহরান পঞ্চম ও সর্বশেষবারের মতো এ পদক্ষেপ নেয়। ইরান ঘোষণা করে, দেশটি এখন থেকে পরমাণু সমঝোতার বাধ্যবাধকাগুলো মেনে চলবে না। তবে তেহরান পরমাণু সমেঝাতা রক্ষা করবে এবং ইউরোপীয়রা তাদের কথা রাখলে তেহরান এ সমঝোতার ভিত্তিতে নিজের প্রতিশ্রুতিগুলো আবার বাস্তবায়ন করা শুরু করবে।#

(পার্সটুডে)






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*