প্রধান মেনু

পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রার্থনায় ইহুদিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন ইসরায়েলের একটি আদালত। গতকাল শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার দেশটির নিম্ন আদালত এক আদেশে বলেছিলেন, এই মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিরাও ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ প্রার্থনা করতে পারবেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত মাসে ইসরায়েলের রাব্বি আরিয়েহ লিপ্পোর আল–আকসা প্রাঙ্গণে ঢুকে প্রার্থনা করেন। তিনি সেখানে প্রার্থনা করায় সমস্যাটির শুরু হয়। ওই ঘটনা ঘটানোর পর ইহুদিদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশ। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়।

জেরুজালেমের একটি আদালত গত মঙ্গলবারের আদেশে বলেন, লিপ্পোর ‘ফিসফিসিয়ে করা’ প্রার্থনা পুলিশের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পুলিশ আপিল করলে জেরুজালেমের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক আরিয়েহ রোমানফ গতকাল শুক্রবার আল–আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ যা করেছে, তা যৌক্তিক।’

ইসরায়েলি আদালতের গত মঙ্গলবারের রায়ের পর সর্বসম্মতভাবে তার নিন্দা জানিয়েছিলেন মুসলিম বিশ্বের নেতারা। আল-আকসার পরিচালক শেখ ওমর আল-কিসওয়ানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি একধরনের উসকানি এবং এতে আল-আকসার পবিত্রতা বিনষ্ট হবে।’

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, মিসর আদালতের ওই আদেশকে প্রত্যাখ্যান করে এটিকে আইনের লঙ্ঘন বলে সমালোচনা করেছিল। জর্ডানের জেরুজালেমবিষয়ক রয়্যাল কমিটির কর্মকর্তা আবদুল্লাহ কানান ওই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে একে আল-আকসার ওপর হামলা বলে অভিহিত করেছিলেন।

মুসলিম দেশগুলোর বৈশ্বিক জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ইসরায়েলের তথাকথিত ‘জেরুজালেম আদালতের’ সিদ্ধান্তকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়েছিল। তবে গতকালের রায়ের পর উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত। আর ইহুদিদের কাছে এটি খ্যাত টেম্পল মাউন্ট নামে। তারাও এটিকে তাদের পবিত্র স্থান দাবি করে থাকে। দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে এই মসজিদের অবস্থান।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*