প্রধান মেনু

ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচতে নারীর জন্য অত্যাধুনিক শাড়ি

 আলোরকোল ডেস্ক ।।

মহিলাদের ধর্ষিতা হওয়ার জন্য দায়ি করা হয় তাঁর পোশাককে। পোশাকই নাকি সমাজে ধর্ষকের জন্ম দেয়। সমাজের সেই সব মানুষের চিন্তাধারায় সজোরে ধাক্কা দিতে বাজারে এলো নতুন এক পোশাক। যা ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম যে কোনও পরিস্থিতিতে। সংবাদ প্রতিদিন

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলো দিল্লির ঘটনার একটি ভিডিও। যেখানে এক মহিলাকেই স্পষ্ট বলতে শোনা গিয়েছে, খাটো পোশাকের মেয়েদের ধর্ষণ করা উচিত।

আরও মজার বিষয় হলো, মহিলার সপক্ষে অনেকেই সুর চড়িয়ে বলেন, খাটো পোশাক সত্যিই ধর্ষণের অন্যতম কারণ। অর্থাৎ তাঁদের মতে, মহিলারা আরও মার্জিত-ঢাকা পোশাক পরলেই ধর্ষণ সমস্যার সমাধান হবে। হায়! যদি এমনটাই হতো, তবে তিন মাসের শিশুর ধর্ষণের খবর কি আর শিরোনামে উঠে আসতো? কিংবা বোরখা পরিহিতার গায়ে কি কখনও যৌন হেনস্থার আঁচ লাগতো? সেসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অধরা।
তবে খাটো পোশাকের পালটা দিতে তরুণদের একটি দল হাজির করেছে ‘সুপার সংস্কারি শাড়ি’। নিজেদের ওয়েবসাইটে এই অদ্ভুত শাড়ির কথা ব্যাখ্যা করেছে তারা। তবে পুরোটাই মজা করে। তাঁদের মতে, পোশাকই যদি ধর্ষণের কারণ হয়, তবে এমন শাড়িই মহিলাদের পরা উচিত। তাহলেই মুশকিল আসান। মূলত দিল্লির ওই ঘটনার বিরোধিতা করতেই এমন উদ্যোগ।

ওয়েবসাইটটিতে শাড়ির বিবরণে লেখা রয়েছে, এই পোশাকে রয়েছে ধর্ষণ-প্রতিরোধক প্রযুক্তি। শাড়িটি পরলে ধর্ষক ওই মহিলাকে দেখতেই পাবেন না।

যৌনপিপাসুদের হাত থেকে বাঁচতে এই অত্যাধুনিক শাড়ি অবশ্যই নিজের কালেকশনে রাখুন। যখন আপনাকে দেখাই যাবে না, তখন ধর্ষণের কোনও আশঙ্কাও থাকবে না। যদিও বাস্তবে এ শাড়িতে এমন কিছুই নেই। আসলে মজার ছলেই সমাজের সেই সব মুখোশ পরা মানুষদের কটাক্ষ করতে চেয়েছে তরুণদের এই দল। হিংসাত্মক পথে না হেঁটে প্রতিবাদ জানিয়েছে হাস্যরসের মাধ্যমে৷

ওয়েবসাইটে বলা আছে, ভারতে শাড়িগুলি অনলাইনে অর্ডারও করা যাবে। ১০০, ২০০, ৫০০ রুপি দামের শাড়ি রয়েছে। তবে নিছকই ব্যবসার জন্য শাড়িগুলি তারা বিক্রি করছে না। এই অর্থ সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে। যাতে হিংসার বিরুদ্ধে নিজেরাই রুখে দাঁড়াতে পারে তারা। তাই এই অর্থকে অনুদান বলতেই আগ্রহী ওই তরুণরা। 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*