প্রধান মেনু

উৎসবমুখর জেলেরা

দু’মাস অবরোধের পর সুন্দরবনে শুরু হয়েছে মাছ শিকার

নজরুল ইসলাম আকন ।।

পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে আবারও শুরু হয়েছে মাছ ধরা ।গত দ’মাস ধরে সুন্দরবনে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ছুটছে বনে । দীর্ঘদিন জেলেরা কর্মহীন থাকলেও এখন উৎসবমুখর মনে মাছ ধরার কাজে ব্যাস্ত হয়ে উঠছে।

দীর্ঘ দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সুন্দরবনের ওপর নির্ভশীল বাগেরহাটের শরণখোলার হাজার হাজার দরিদ্র জেলে পরিবার অভাব অনটনে দিন কাটায়। অনেকে কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। দাদন দেয়া মহাজনরাও লাখ লাখ টাকা দিয়ে সংকটে পড়েছেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩১ জুলাই থেকে দুই মাস সুন্দরবনের মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময় মাছ ধরা হলে ডিমওয়ালা মা মাছ মারা পড়ে।

সুযোগ সন্ধানী অসাধু এক শ্রেনীর জেলেরা বনের ছোট -বড় খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে। এতে মৎস্য সম্পদসহ অন্যান্য জলজ প্রাণি ধ্বংস হয় । এবং স্থায়ীভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ে বনের ওপর। বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করে সরকার মে মাস থেকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরনে ২৫ ফুটের নিচে সমস্ত খালে সারাবছরই মাছ ধরাসহ প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেন হাওলাদার জানান, ১৫টি নৌকায় তার দাদন দেওয়া রয়েছে। প্রতিটি নৌকায় এক লাখ, সোয়া লাখ টাকা করে দিয়ে রেখেছেন।

অবরোধের কারণে ওই টাকা জেলেরা পরিশোধ করতে পারছেন না। তাই নতুন করে তাদের আবার দাদন দিতে হচ্ছে ।
মৎস্য আড়ৎদার রিপন বয়াতী, আনোয়ার সওদাগর জানান, শরণখোলা বাজার, বগী, গাবতলা ও সোনাতলা এলাকায় অর্ধ শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী আছে।

এদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে প্রায় চার হাজার জেলে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায়। অবরোধে পড়ে কাজ হারিয়ে জেলে-মহাজন সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের সহকারী বনসংরক্ষক ও শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। কঠোর অবস্থানে রয়েছে বন প্রশাসন। সুন্দরবনের ২৫ ফুটের ছোট সমস্ত খালে মাছ ধরাসহ প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে।

ওইসব খালের মুখে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনঃরায় জেলেদের পাসপারমিট দেয়া হবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*