গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্থানীয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় এক তাঁতী লীগ নেত্রী। ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদ রানা। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

বুধবার (৬ অক্টোবর) পলাশবাড়ী থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগের এক নেত্রী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, বাংলাদেশ টুডে ও আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় বরিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগের এক নেত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এই মামলা দায়ের করেছেন।

পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম পাতা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের সাথে তাঁতী লীগের ওই নেত্রীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক বলে এলাকায় ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে। তারা একসাথে দীর্ঘদিন ঢাকা রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে একসাথে বসবাস করেছেন। তাদের প্রেমের বিষয়টি ছিলো ওপেন সিক্রেট। কিন্তু ওই তাঁতী লীগ নেত্রীর অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে রফিকুল শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। কিন্তু বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন টালবাহানা করছে। বাধ্য হয়ে পলাশবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদ রানা ধর্ষণের মামলা দায়ের করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা মামলার পর পরেই ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি সেই প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তার নাম্বার বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তার সহকর্মী সাংবাদিকদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা  যায়নি।