জাতীয় পার্টির নতুন চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে (জি এম কাদের) মাথায় হাত বুলিয়ে আর্শীবাদ করেছেন তার ভাবি ও দলের সিনিয়র-কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। জিএম কাদের আজ শনিবার দুপুরে রওশন এরশাদের গুলশানের বাসবভনে যাওয়ার পর এই প্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রায় দুই ঘণ্টা জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ একান্তে বৈঠক করেন। একসঙ্গে তারা দুপুরের খাবারও খেয়েছেন। বৈঠকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জ্যেষ্ঠপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদসহ জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত জাপার একজন নেতা জানান, জি এম কাদের তার সদ্য প্রয়াত ভাই এরশাদের (পার্টির ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান পদের বিষয়ে) সিদ্ধান্ত পুনরায় রওশন এরশাদকে অবহিত করেন এবং রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার ভূমিকায় থাকার প্রাথমিক প্রস্তাব করেন।
তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে রওশন তার সিদ্ধান্তের কথা জানাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, ‘আমার পিতৃতুল্য বড় ভাই ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রয়াণে ভাবির (রওশনের) মানসিক অবস্থা ভালো না। তিনি এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই আমি আমার মাতৃতুল্য ভাবির সঙ্গে দেখা করতে যাই।
এটা আমাদের পারিবারিক আলোচনা বৈঠক ছিল, রাজনৈতিক না। স্বাভাবিকভাবেই ভাবি আমার সঙ্গে স্নেহশীল মনোভাব নিয়ে কথা বলেছেন এবং আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেছেন।’
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও রওশনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
জানা গেছে, এরশাদ মারা যাওয়ার আগে-পরে জি এম কাদের এবং বেগম রওশন এরশাদকে একসঙ্গে দেখা গেলেও একান্ত বৈঠকে বসার কোনো খবর পাওয়া নিকট অতীতে পাওয়া যায়নি। জি এম কাদের রাজনীতিতে আগমনের পর থেকেই রওশনের সঙ্গে মানসিক দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। জি এম কাদেরকে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করা হলে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়।