প্রধান মেনু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবিতা, গান, নটক তথা সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে

জাতির পিতা হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেছেন কবি ও আবৃত্তিকারকরা

আলোরকোল ডেস্ক।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবিতা, গান, নটক তথা সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে যেভাবে প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে এবং মানুষ উদ্বুদ্ধ হয় তা আর কোন কিছুতে হয় না। তিনি বলেছেন, জাতির পিতা হত্যাকান্ডের পরও যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তখনও প্রতিবাদ করেছেন কবি ও আবৃত্তিকারকরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২’ এর উদ্বোধন ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যখন কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড করা যাচ্ছিল না তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে এবং মানুষ সেখানে উদ্বুদ্ধ হয়।

 
শেখ হাসিনা বলেন, কবিতার মধ্য দিয়ে অনেক না বলা কথা বলা যায়। রাজনীতিবিদরা অনেক কথা বা বক্তব্য দেন। কিন্তু একটি কবিতার মধ্যে দিয়ে মানুষ অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ হয়। কবিতার মধ্য দিয়ে, গানের মধ্য দিয়ে, নাটকের মধ্য দিয়ে, সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।

বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে কবিতার অবদানের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর আঘাত কতবার এসেছে। কিন্তু বাঙালি বসে থাকেনি। প্রতিবারই কিন্তু প্রতিবাদ করেছে। আমাদের যারা সাহায্য করতো… তারা একেকজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার। নীল দর্পন এ নাটকের মধ্য দিয়ে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন এগিয়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই তো প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমি বলবো যে এদেশের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে কবিদের…। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবার প্রতি। অনেকে নাটক লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন, বই ছাপিয়েছেন। যার জন্য গ্রেফতারও হতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু থেমে থাকেনন।

‘আমরা যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু করলাম, তখনো পথ নাটক, কবিতা, আবৃত্তির মধ্য দিয়েই কিন্তু এগিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সেখানে অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে। ’ কবিতার প্রতি নিজের আগ্রহ ও ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও এমন উৎসবে বহুবার গিয়েছি। পেছনের সারিতে বসে শুনেছি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। বিশিষ্ট্য নাট্য ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের ৫ দিন ব্যাপী এই কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিরা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’ ও প্রদান করেন।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*