প্রধান মেনু

ছেলেধরা গুজবে নীরিহ মানুষকে হত্যা: কঠোর সরকারি হুঁশিয়ারি জারি

আলোরকোল ডেস্ক ।।

কোনো বিষয়ে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে

কোনো সন্দেহজনক ঘটনা অথবা গুজবের ভিত্তিতে কোনো নিরীহ মানুষকে হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছে সরকার। এ ধরনের ঘটনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সম্প্রতি ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকটি গণপিটুনি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার (২২ জুলাই) সতর্কতা উচ্চারণ করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।

বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়িয়ে ছেলেধরা সন্দেহে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হতাহতের বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত যে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো বিষয়ে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে, দু’দিন আগে রাজধানী ঢাকা বাড্ডা এলকায় ছেলে ধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। আদালত তাদের তিনজনকে চারদিনের পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশে থানাসহ সকল পুলিশ অফিসে অভ্যন্তরীণ সার্কুলার জারি করেছে। সকল পুলিশ ইউনিটকে টহল জোরদার এবং সব বিদ্যালয়ের সামনে পাহাড়া জোরদার ও স্কুল শিক্ষক, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে স্কুল ছুটির পর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্কুল চত্বর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে সরকার। 

এর আগে ২০ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ছেলে ধরা গুজবের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এ ধরনের গুজবের ঘটনায় সন্দেহভাজন কাউকে ধরে পুলিশের হাতে না দিয়ে পিটিয়ে হতাহত করা আইনের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*