চিতলমারীতে বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ! মেয়ের সংবাদ সম্মেলেন
চিতলমারী প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের চিতলমারীতে গ্রাম্য প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষের সাজানো মামলায় জেলে গিয়েছে এক সরকারি চাকুরীজীবি। এ খবর শুনে তার বৃদ্ধ মা স্ট্রোক করে মৃত্যুশয্যায়। প্রতিপক্ষের রোষানলে ওই পরিবারের নারী ও শিশুরা ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে। এসব তথ্য তুলে ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলেন করেছে অসহায় ওই পরিবারটি।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভুক্তভোগীর স্ত্রী পুতুল বড়াল জানান, তার স্বামী অনাদী বড়াল (৫১) একজন সরকারি চাকুরিজীবী। উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোড়া নালুয়া গ্রামের দুই কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে তাদের বসবাস। এলাকায় তাদের পরিবারের সুমান ও সুখ্যাতি আছে । দীর্ঘদিন তাদের গ্রামে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটির পক্ষে বিরোধ চলে আসছে। তার স্বামী সমাজের অন্যান্যের ব্যক্তিদের সাথে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন। অপরদিকে বিরোধী পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের উৎসব বৈরাগী, ভজন মজুমদার, মৃনাল হালদার ও পংকজ মজুমদার। তারা তার স্বামীকে ঘায়েল করার জন্য একই গ্রামের মৃত- গোসাই লাল মজুমদারের বিধবা স্ত্রী স্মৃতিকণা মজুমদারকে দিয়ে তার স্বামী অনাদী বড়াল ও একই গ্রামের অর্জুন বাড়ই এর নামে সম্পূর্ণ সাজানো একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় বর্তমানে তার স্বামী অনাদি বড়াল ও অর্জুন বড়াল জেল হাজতে রয়েছে।
এদিকে ছেলের নামে মিথ্যা মামলার খবর শুনে তার শাশুড়ী চম্পা বড়াল স্ট্রোক করে মৃত্যুশয্যায়। বর্তমানে তারা প্রতিপক্ষের রোষানলে স্বপরিবারে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন ও ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুতুল বড়ালের মেয়ে রিনা রানী বড়াল ও শিশু পুত্র বাঁধন বড়াল।
রিপোর্ট
প্রদীপ মন্ডল
চিতলমারী, বাগেরহাট