প্রধান মেনু

প্রাকৃতিক কারণে ঘেরে মড়ক

চিতলমারীতে চরম হতাশায় কয়েক হাজার চিংড়ি চাষিরা

প্রদীপ মন্ডল, চিতলমারী ।।

বাগেরহাটের চিতলমারীতে আবহাওয়া জনিত প্রাকৃকিত কারণে চিংড়ি ঘেরে মহামারি আকারে মড়ক দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার চিংড়ি চাষির মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

এ সুযোগে কতিপয় অসাধু মেডিসিন দোকানিরা চিংড়ি ঘেরের পানি শোধন ও মড়ক ঠেকানোর নামে লাখ লাখ টাকা চাষিদের থেকে লুফে নিচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি চাষের উপর নির্ভরশীল এলাকার অধিকাংশ চাষিরা। উপজেলার আবাদি-অনাবাদি জমিতে ব্যাপক ভবে চিংড়ি চাষের মাধ্যমে এসব চাষিরা ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখলেও এখন সেটি ভেস্তে যেতে বসেছে। অবহাওয়া জনিত কারণে গত কয়েক দিনে হাজার-হাজার চিংড়ি ঘেরে মহামারী আকারে মড়ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এতে অসংখ্য চাষিরা এখন চরম হতাশায় ভুগছেন। ঘেরের মড়ক ঠেকাতে অনেকে মেডিসিনের দোকানে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়া ফকির ও দরবেশের কাছ থেকে পানি পড়া ও লাল নিশান টাঙিয়ে মড়ক প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে শ্রীরাম পুরের ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষি কৃষ্ণপদ বালা, অনুপ বালা, দয়াল বালা, তুহিন বিশ্বাস, পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের দেবদাস ভক্ত, উত্তম বাড়ৈ ও ডুমুরিয়া গ্রামের সবুজ বাড়ৈ, কিসমত শেখসহ অনেক চাষি হতাশা প্রকাশ করে জানান, হঠাৎ করে ঘেরে মড়ক দেখা দেওয়ায় সেটি কোন ভাবেই ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না।

বাজার থেকে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করেও কোন কাজে আসছে না। এ পরিস্থিতিতে ঋণগ্রস্ত এসব চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগান জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর ঘেরের জমিতে চিংড়ি চাষ করা হয়েছে।

অবহাওয়া জনিত কারণে চিংড়ি ঘেরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর জন্য সেচ মেশিন দিয়ে পানি ওলট-পালট করে দেওয়াসহ মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*