প্রধান মেনু

এক জন কিংবদন্তির শুভ জন্মদিন-রফিকুল ইসলাম মন্টু

শু ভ জ ন্ম দি ন
শেখ মোহাম্মদ আলী ভাই

******************************
শেখ মোহাম্মদ আলী। সাংবাদিক মহলে পরিচিত একটি নাম, বিশেষ করে পশ্চিম উপকূলে। এই নামটির সঙ্গে দৈনিক আজাদ নামটি যেমন জড়িত, তেমনি একালে এসে দৈনিক ইত্তেফাক নামটিও জড়িত। মাঝখানে বয়ে গেছে বহুপথ। বিভাগীয় শহর খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি তার আজীবনে লালিত আরেক স্বপ্নের নাম। বহু বছর ধরে কাজ করছেন এই পত্রিকায়।

 

হাতে লেখা পত্রিকার নাম অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু হাতে লেখা দৈনিক পত্রিকার নাম ক’জন শুনেছেন! এই শেখ মোহাম্মদ আলী মুদ্রণ পত্রিকার যুগ শুরুর আগে হাতে লিখে দৈনিক পত্রিকা তৈরি করতেন। নিয়মিতভাবে ৬৫ সংখ্যা বেরিয়েছিল ‘শরণখোলা দর্পণ’ নামের এ পত্রিকাটি। সাংবাদিকদের সংগঠিত করতে তার হাতেই রোপিত হয় শরণখোলা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার বীজ। তিনি শরণখোলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আজ আলী ভাইয়ের জন্মদিন।

রায়েন্দা বাজার। পশ্চিম উপকূলের সুন্দরবন লাগোয়া ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যস্থান। এটাই বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর। প্রথমবার যখন শরণখোলা আসি হতবাক হই! রায়েন্দা বাজার শেষ স্টপেজ।

কী ব্যাপার! আমি তো যাবো শরণখোলা! এটাই যে শরণখোলা সদর- সেটা বুঝিনি বাস থেকে না নামা পর্যন্ত। একে একে বহুবার যখন এই রায়েন্দা বাজারে গিয়েছি, থেকেছি, গল্প করেছি- তখন খুব ভালোভাবে চিনি এর অলিগলি। বাস থেকে পাঁচরাস্তা নেমে যেতে হয় বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে।

রায়েন্দা বাজারের প্রবেশ মুখেই সুদৃশ্য একতলা ভবন। সামনে খানিক খোলা মাঠ। তারপর পিচঢালা পথ। তারপর বড় পুকুর।

যাত্রীবাহী ভ্যানগুলো চলে টুং টাং শব্দে। ভবনটির সামনে বেশ বড় হরফে লেখা ‘শরণখোলা প্রেসক্লাব’। কোন এক সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আড্ডা দিচ্ছিলিাম। দু’দিনে পরিচয় হয়ে গেছে এখানকার অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে। কিন্তু সেদিন এলেন শরণখোলার একজন সিনিয়র সাংবাদিক। আমার পরিচয় জানতে চাইলেন আরও একটু ভেতর থেকে।

প্রশ্ন করেন একটু ভিন্নভাবে- জবাবটা যেন তার কাছেই আছে। আমি শুধু ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ সূচক উত্তর দিলেই হয়।

: আপনার পুরো নাম কী রফিকুল ইসলাম মন্টু?

: জ্বী, রফিকুল ইসলাম মন্টু।

: আপনার জন্মস্থান কী বরগুনা?

: জ্বী।

: আপনি কি বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেছিলেন?

: হ্যাঁ।

: আপনি কী ডেভপ্রেস এবং ডেভফিচারে নিয়মিত লিখতেন?

: হ্যাঁ, লিখতাম।

আমার পরিচয় নেওয়ার জন্য তাকে আর প্রশ্ন করতে হলো না। এটুকু আলাপেই আমরা ২০-২৫ বছর আগের স্মৃতিচারণে ফিরে যাই। প্রেসক্লাবে উপস্থিত সকলে এ আলোচনা শুনে কিছুটা অবাকই হন।

যিনি আমার কাজ সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন, কাজের সূত্র ধরে আমাকে অনুসরণ করেন- তার সঙ্গে এতটা বছর পরে দেখা! আমি নিজেও অবাক হই। তিনি আর কেউ নন- আমাদের সকলের প্রিয় আলী ভাই- শেখ মোহাম্মদ আলী। কাজের মানুষ খুঁজে ফেরেন কাজের মানুষকে।

পরিচয়ের সূত্রটাও কাজের গল্প দিয়ে। আলী ভাই বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাক-এর শরণখোলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক জন্মভূমি’র সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত আছেন। কাজে থাকুন। লিখুন আরও বহু বছর- মানুষের কল্যাণে, সেবায়।

শুভ জন্মদিন আলী ভাই।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*