প্রধান মেনু

উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বিপুল ভোটে জয়ী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ (রোববার) নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা  টিবরেওয়ালকে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। 

 অন্যদিকে, বেসরকারি সূত্রে প্রকাশ, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ও সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। ভবানীপুর, জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জ আসনে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।গোটা রাজ্যের নজর ছিল ভবানীপুর কেন্দ্রের দিকে। কারণ, এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ভবানীপুরের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ভবানীপুরে জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। সব চক্রান্ত জব্দ করে দিয়েছে বাংলার মানুষ, ভবানীপুরের মানুষ। ভবানীপুরের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী।’

২০১১ এবং ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে ২০২১ সালে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূল বিধায়করা মমতাকে পরিষদীয় দলের নেত্রী ঘোষণা করায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মমতা। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৬ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসতে হতো। সেই বিধিনিয়মের জেরে তিনি উপনির্বাচনে লড়েন এবং এক্ষেত্রে পুরনো ভবানীপুর কেন্দ্রকেই বেছে নেন মমতা।

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সম্পর্কে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এরপরে দিল্লিতে যেতে হবে। সর্বভারতীয়  রাজনীতিতে যেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপিকে সরাতে হবে। মমতাকে বাংলায় নয়, দেশে অগ্রণী ভূমিকায় দেখতে চান মানুষ। ২০২৪ সালে মোদি সরকার দেশের ক্ষমতা থেকে সরলে আসল জয় সেদিন আসবে।’

এদিকে, মমতার জয় সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভবানীপুরে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে, সুকান্ত মজুমদারকে একাধিকবার বাধা দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস নামিয়ে আনা হয়েছে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল, আমাদের ভোটাররা ভোট দিতে যেতে পারেননি। তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।’‘আমরা লড়াই করেছি। হারা-জেতা থাকেই’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।#

 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*