প্রধান মেনু

সুন্দরবন ইলিশের এই অবরোধের আওতামুক্ত

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ফের ২২ দিনের অবরোধ

আলোরকোল ডেস্ক ।।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চার অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ২২ দিনের অবরোধ। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অবরোধ বলবোধ থাকবে। গতবছর ১৪ অক্টোবর থেকে চার নভেম্বর পর্যন্ত এই অবরোধ দেওয়া হলেও প্রকৃতিগত কারণে এ বছর তা ১০ দিন এগিয়ে অবরোধ শুরুর তারিখ চার অক্টোবর নির্ধারণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

অবরোধ চলাকালে বেকার জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ সুবিধা দেওয়া হবে। শরণখোলা উপজেলা মৎস্য অফিস এই তথ্য জানিয়েছে।

তবে বনবিভাগ জানিয়েছে, এই অবরোধ শুধুমাত্র ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য। বঙ্গোপসাগর, বলেশ্বর, ভোলা নদীতে সবধরণের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে। সুন্দরবন এই অবরোধের আওতায় পড়বে না। বনঅফিস থেকে দেওয়া ইলিশের পাস বাদে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মৎস্য আহরণকারী জেলেদের পাসপারমিট বহাল থাকবে।

মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, অবরোধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই বিধিনিষেধ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ১৯৫০ সালের মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

অবোরধ সফল করতে বরাবরের মতো এবারও উপকূলীয় শরণখোলা উপজেলায় প্রশাসন ও মৎস্য বিভিাগের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ট্রাস্কফোর্স কমিটি। এই টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা এক সপ্তাহ আগে থেকেই মৎস্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় ও জেলে পল্লীগুলোতে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির বাগেরহাট জেলা সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা এই জেলার সমস্ত জেলে-মহাজন সবসময়েই মেনে চলে। অবরোধের মধ্যে উপকূলীয় অন্যান্য জেলার জেলেরা গোপনে ইলিশ আহরণ করলেও শরণখোলাসহ জেলার কোনো জেলেই ট্রলার নিয়ে সাগরে বা নদ-নদীতে যায় না। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ইলিশ কম পাওয়ায় এই জেলার জেলেরা চরম লোকসানে আছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন এই মৎস্যজীবী নেতা।

শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব এম এম পারভেজ জানান, ইলিশ অবরোধ সফল করতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অবরোধ বাস্তবায়নে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব জেলে সাগর বা অন্যান্য নদ-নদীতে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ে ঘাটে ফিরে ৩ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে মাছ বিক্রি ও ট্রলার থেকে জাল তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন  জানান, সুন্দরবন ইলিশের এই অবরোধের আওতামুক্ত। বনবিভাগ থেকে শুধুমাত্র ইলিশ আহরণের জন্য কোনো পাসপারমিট দেওয়া হবে না। এ ছাড়া, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মৎস্য আহরণকারী জেলেদের পাস চলমান থাকবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*