প্রধান মেনু

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে শরণখোলায় কৃষকের সম্পত্বি দখল!

এমাদুল হক (শামীম) ।। 
আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাগেরহাটের শরনখোলায় এক কৃষকের প্রায় দশ লাখ টাকার সম্পত্তি পুনঃরায় জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার নলবুনিয়া (দ্বীপচর) গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোঃ ফজলুল হক সওদাগর বলেন,
১৯৮৩,১৯৮৫ ও ১৯৯৫ সালে তার প্রতিবেশি আঃ রশিদ চৌদুরী ও তার নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে আমড়া গাছিয়া মৌজার-১০৮৩/১২৮৯-নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগ হতে প্রায় ৬৬ শতাংশ জমি কবলা মুলে ক্রয় করে দীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপুর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলেন।

কিন্তু ৩৭বছর পর রশিদের ছেলে সৌদি প্রবাসী মোঃ রাজ্জাক চৌদুরীর স্ত্রী খাদিজা বেগম তার কয়েক জন নিকট আতœীয়কে ভাড়া করে আমার বসত বাড়ীর মধ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে চলতি বছরের জুন মাসে খাদিজা প্রথম দফা প্রায় দশ লাখ টাকার জমি দখল করেন । তবে, খাদিজাকে শরনখোলা থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মোঃ মফিজুর রহমান শেখ শেল্টার দেওয়ায় আমি আইনী কোন সহয়তা পাচ্ছি না ।

জমির কাগজ পত্র নিয়ে গত মে আমি প্রথমবার থানায় গেলে (ওসি তদন্ত) আমাকে তিন ঘন্টা আটকে রখেন । পরে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে মুক্তি দেয় । এছাড়া আমার মেয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় তিনি ভয়ভীতি দখিয়ে কয়েকবার আমার কাছ থেকে বিকাশে টাকা নেয় মফিজ । এমনকি আমার এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু তালুকদার ,খলিল গাজীকে দালাল হিসেবে ব্যাবহার করে আমার পালিত রাজা হাঁস নেয় মফিজ । ওই পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আমি জেলা পুলিশ সুপার ও খুলনা রেঞ্জের ডি.আই.জির নিকট ইতিমধ্যে দু-দফা আবেদন করেও কোন সু-ফল পাইনি ।

উল্টো ওই কর্মকর্তা আমাকে পেইনডিং ও নারী নির্যাতন সহ নানা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ।
থানায় বসে মফিজ কলকাঠি নাড়ার কারনে আমাকে সহ আমার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৫আগষ্ট শরনখোলা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দ্বায়ের করেন খাদিজার সহযোগী রুমানা বেগম। কোন উপায় না পেয়ে সম্পত্তি রক্ষায় আমি গত ৩আগষ্ট বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দ্ধায়ের করি । আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ জারী করেন ।

কিন্তু আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে গত ৫সেপ্টেম্বর(শনিবার)সকালে মফিজের ইন্দোনে খাদিজা আমার ভোগ দখলীয় ওই জমিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও থানার দালাল বাচ্চু তালুকদার , খলিল গাজী এবং খাদিজার সহযোগী শফিকুল সওদাগর ও মনির সওদাগার সহ ৮/১০জনকে সাথে নিয়ে পুনরায় ঘেরা বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। বিষয়টি শরনখোলা থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা আদালত অবমাননা কারী ওই চক্রের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি । এছাড়া ইতি পুর্বে প্রতিপক্ষরা আমার বাড়ীর বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার টাকার গাছ জোর পুর্বক কর্তন করে নেয় ।

এ ব্যাপারে মোঃ মনির সওদাগার দাবী করেন ,জমি নিয়ে খাদিজার পরিবারের সাথে ফজলুল হকের দ্বন্দ রয়েছে। তবে, আমাদের নামে যে অভিযোগ গুলো করেছেন তা সম্পুর্ন কাল্পনিক। অন্যদিকে , প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন , আমার শশুর সব জমি বিক্রি করেন নাই । ফজলুল হকের ভোগ দখলীয় জমির মধ্যে আমাদের অংশ আছে । তাই সওদাগারের কিছু জমি গতকাল বেড়া দিয়েছি ।

আমাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থাই হোক না কেন জমি ছাড়ব না । এ বিষয়ে জানতে চাইলে মফিজুর রহমান শেখ বলেন , আমি কারো পক্ষের লোক নই ।বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে আদালতের স্বরনাপন্ন হতে বলা হয়েছে এবং ফজলু সওদাগার আমাকে ভুল বোঝায় আমার বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেছেন ।

ওই বিষয়টি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবেন । এছাড়া শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান , আদালতের নিশেধাজ্ঞা দেওয়া ওই জমিতে ঘেরা বেড়া দেওয়ার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তবে ,বিষয়টি আদালত নিস্পত্তি করবে। ##

এমাদুল হক (শামীম)
শরনখোলা ,বাগেরহাট ।
০৬-০৯-২০২০






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*