প্রধান মেনু

অভিনেত্রী শিমুকে হত্যার পরদিন লাশ ফেলে এসে জিডি করেন ঘাতক স্বামী

আলোরকোল ডেস্ক।।

অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে প্রমাণ মিলেছে। গতকাল সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছ থেকে অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের পর তা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহতের গলায় স্পষ্ট কালো দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রশি বা কোনো কিছু দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ভিসেরা (অভ্যন্তরীণ কিছু অঙ্গ) সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল জানিয়েছেন, শিমুকে গত শনিবার রাতে গ্রিন রোডের বাসায় শ্বাসরোধে হত্যার পরদিন বন্ধু ফরহাদকে নিয়ে কেরানীগঞ্জে গিয়ে লাশ ফেলে দিয়ে আসেন। ফিরে এসে কলাবাগান থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করেন তিনি।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার পর সারারাত লাশের সঙ্গেই থাকেন নোবেল। পরদিন সকালে বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে বাসায় ডাকেন। সকালে তারা ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে নাশতা আনতে বাইরে পাঠিয়ে একটি বস্তায় করে লাশ গাড়িতে রাখেন। এরপর লাশ ফেলার জায়গা খুঁজতে তারা সাভার, আশুলিয়া ও মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে যান। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে বিকেলে আবার লাশ নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং কেরানীগঞ্জে মরদেহ ফেলে দেন।’

রোববার রাতে মরদেহ ফেলার পর নোবেল কলাবাগান থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়, তার স্ত্রী রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার নোবেল ও ফরহাদ জানান, ঝগড়ার পর নোবেল শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি সরাতে তিনি জিডি করেন।

পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মরদেহ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে এবং শিমুর বাসায় গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। মরদেহ ফেলতে যে বস্তা ব্যবহার হয়েছিল, সেই বস্তায় থাকা সুতোর মতো এক বান্ডিল সুতো শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। গাড়িটি ধোয়া ছিল এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ছিল।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*