অনুমতি ছাড়াই সরকারী রাস্তা কেটে বালুর ব্যবসা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
মোংলায় সরকারী রাস্তা কেটে রমরমা বালুর ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন তিন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে অনুমতি ছাড়াই উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটারাবাদ এলাকার ইট সলিংয়ের রাস্তা কেটে তার নিচে পাইপ ঢুকিয়ে এ ব্যবসা করছেন তারা।
স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী শ্রীবাস, অশোক এবং শ্রীকান্ত নামে এ তিন ব্যবসায়ী প্রশাসনের কারো অনুমতি না নিয়েই অবৈধ এ ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী রাস্তা কেটে বালুর ব্যবসা অবৈধ এবং বেআইনী উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাহাত মান্নান বলেন, যারা এগুলো করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটারাবাদ রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়দের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি কেটে তার নিচে তিনটি পাইপ ঢুকিয়ে বালু নেওয়া হচ্ছে। পশুর নদীর পাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্তুপ করে রাখা এ বালু ড্রেজার দিয়ে ওই পাইপে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন স্থানীয় শ্রীবাস, অশোক এবং শ্রীকান্ত।
বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) প্রদীপ হালদার বলেন, এভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে বালু এনে বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ, তার উপর রাস্তা কেটে বালুর ব্যবসা। এতে করে ওই রাস্তার মারাতœক ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। রাস্তাটি তার ওয়ার্ডে হওয়া সত্বেও এ তিন ব্যবসায়ী তার কথা শোনেনি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করে শ্রীবাস, অশোক এবং শ্রীকান্ত রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। এজন্য তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে নিয়েছেন।
রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে স্থানীয়দের কাছে বালু বিক্রি করছেন স্বীকার করে বালু ব্যবসায়ী শ্রীবাস বলেন, এ সম্পর্কে তাদের বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সব জানেন।
বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা, তবে সরকারী রাস্তা কেটে কোন ব্যক্তি বালুর ব্যবসা করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। #