প্রধান মেনু

খাবার পানির সংকট

সাউথখালীর শতাধিক মানুষ এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে

নজরুল ইসলাম আকন ।।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কেটে গেলেও দুর্ভোগ কাটেনি  শরণখোলার সাউথখালীর মানুষের।  ফণীর আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বগী এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধবেড়ি তছনছ হয়ে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে বলেশ্বরের জোয়ারে সঙ্গে সাগরের লবন পানি ঢুকে পড়ছে বাঁধ সংলগ্ন গ্রামগুলোতে।  বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে ।বন্দী পরিবারগুলোর শতাধিক মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছেন ।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের বগী, দক্ষিণ সাউথখালী, চালিতাবুনিয়া ওয়ার্ডের কিছুঅংশসহ তিনটি গ্রামের তুলনামূলক নিচু এলাকার  জোয়ারে  পানি ঢুকে আবার ভাটিতে নেমে যায় ।এসব পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে স্বাভাবিক কাজকর্ম, রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে।  নোনা পানিতে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এসব পুকুরের পানি।

 

দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. বারেক হাওলাদার (৮০), আ. খালেক হাওলাদার (৬০), বগী সাতঘর গ্রামের আ. জলিল খলিফা (৬২) এবং চালিতাবুনিয়া গ্রামের গৃহবধু মমতাজ  বেগম (৪৫) বলেন, আমাদের পুকুরে লবন পানি ঢুকে পড়ায়  রান্না বান্না ও কাজকর্ম করতে সমস্য হচ্ছে ।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর বগী ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত ও ৬ নম্বর দক্ষিণ সাউথখালী ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাকির হাওলাদার বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রতিদিন দুবার জোয়ারের পানি ঢুকে তিন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তিনটি গ্রামের চারশ’ পারিবারের ঘরাবাড়ি জোয়ারে পানিতে তলিয়ে যায় আবার ভাটি লাগলে  শুকিয়ে যায় ।  ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ার পর উপজেলার অন্যান্য এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে। কিন্তু তাদের গ্রামের শতাধিক মানুষ এখনোও সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয়ে রয়েছে। জোয়ারের পানির প্রভাবে  ঘরে থাকতে পারছেনা তারা। আশ্রয় নেওয়া মানুষদের শুকনা খাবার, পানি সরবরাহ করছি আমরা। দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ না হলে এ দর্ভোগ থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।

এব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) শরণখোলার প্রকৌশলী শ্যামল দত্তর বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই এলাকায় রিংবাঁধ দেওয়া প্রস্তুতি চলছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*