প্রধান মেনু

সাইনবোর্ড-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়ক এখন মরন ফাঁদ

 

আলোরকোল ডেস্ক ।।
একদিকে সড়ক নির্মানের কাজ চলছে আবার অন্যদিকে তা ভেঙ্গে পড়ছে। নাম মাত্র বালু দেয়া আর কোন প্রকার কম্প্রেকশন ছাড়াই চলছে সড়কের পার্শ্ব প্রসস্তকরন হেরিংবোনের কাজ।

সড়ক বিভাগের নাম মাত্র তদারকির কারনে বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে এভাবেই ইচ্ছা মাফিক কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদর।


অনুসন্ধানে জানাগেছে, বাগেরহাট সড়ক বিভাগ ছয় মাস আগে সাইনবোর্ড-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া কাঠেরপুল থেকে রায়েন্দা বাস স্টান্ড পর্যন্ত সড়ক প্রসস্ত করনের দরপত্র আহবান করে। সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে পাঁচ কিলোমিটার পার্শ্ব প্রসস্ত করনের জন্য হেরিংবোনের প্রাক্কলন করা হয়। বাগেরহাটের মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক কোটি ৩৯ লাখ টাকায় ওই কাজ নিয়ে শুরু থেকেইে অনিয়মের আশ্রয় নেয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন সড়কটি ফেলে রেখে এখন জুন মাসে বিল উত্তোলনের জন্য রাতের অন্ধকাওে তড়িঘড়ি করে যেনতেন ভাবে উক্ত প্রকল্পটি বাস্থবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মান কাজে মাত্র আড়াই থেকে তিন ইঞ্চি বালু দেয়া হচ্ছে। কোন প্রকার কম্প্রেকশন ছাড়াই ইট বিছানোর কারনে গাড়ীর চাকা ওঠার সাথে সাথে তা ডেবে যাচ্ছে। এছাড়া পাশে কোন মাটি না দেয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতি মধ্যে ভেঙ্গে পড়ছে। সড়কটি জুড়ে যেন চলছে ভাংঙ্গা-গড়ার খেলা।

উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাফালবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, নুন্যতম বালু না দিয়ে এতো খারাপ ভাবে কাজ করছে তা বলে বুঝানো যাবে না। কাজ শেষ করার আগেই তা ভেঙ্গে পড়ছে। এই কাজের নামে সরকারি অর্থ লোপাট ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না বলে তারা মন্তব্য করেন। এই ঠিকাদার শরণখোলায় যতগুলি কাজ করেছে তা সবই নিন্মামানের।

যার জন্য এখনো মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাঈনুল ইসলাম টিপু, আমড়াগাছিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা অজিত কির্তনিয়া, মনিন্দ্রনাথ হালদার বলেন, দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখার পর জুন মাসে বিল তুলে নেয়ার জন্য এখন যেনতেন ভাবে কাজ শেষ করছেন। এর চেয়ে কাজ না করাটাই অনেক ভাল ছিল। তারা বিষয়টি দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা মোঃ রিপন মিয়া বলেন, তার যোগদানের আগে ওই কাজের প্রাক্কলন করা হয়েছে। প্রাক্কলনে মাত্র তিন ইঞ্চি বালু ধরায় কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের কারনে বিষয়টি নিয়ে আমরাও বীব্রত। তবে যেসব স্থানে ডেবে বা ভেঙ্গে গেছে তা পুনঃরায় ঠিক করে দেয়া হবে।

বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি আমিও দেখে এসেছি। কম্প্রেকশনের পরে মুলতঃ তিন ইঞ্চি বালু থাকার কথা। আসলে বৃষ্টির কারনে নির্মানাধীন সড়কটি ডেবে যাচ্ছে। তবে, সব কাজ ঠিক করে না দেয়া পর্যন্ত ঠিকাদারকে কোন বিল দেয়া হবে না।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ মশিউর রহমান সেন্টু বলেন, বৃষ্টির কারনে সড়কটির কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে, ভয়ের কিছুই নেই । ভেংঙ্গে যাওয়া স্থান গুলো ঠিক করা হবে।##






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*