প্রধান মেনু

শারীরিক সম্পর্কের পর এক তরুণীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

আলোরকোল ডেস্ক ।।

প্রথমে চাকরি, পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর এক তরুণীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গিয়ে আইনি সহায়তা না পাওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ওই তরুণী।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযুক্ত মো. সহিদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি একই উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোছনগর গ্রামের আ. রশিদ মাতুব্বরের ছেলে। তার স্ত্রী এবং দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী সালমা আক্তার মুন্নি কলেজের প্রভাষক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই তরুণী বলেন, গত দেড় বছর আগে অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি তখন বাকেরগঞ্জ উপজেলার মাছুয়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী পদে কর্মরত ছিলেন। পরিচয় হওয়ার পরই অধ্যক্ষ সহিদুল তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাকে চাকরির আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সে সময় তার মুঠোফোন নম্বর নেন অধ্যক্ষ। এরপর থেকেই শুরু হয় তাদের ফোনালাপ। এর দুই বছর পরে অধ্যক্ষ সহিদুল বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিভিন্ন সময় কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন হোটেলে তরুণীকে নিয়ে রাত্রিযাপন করেন ওই অধ্যক্ষ। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি।

বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে বিয়ের আগে সন্তান নেবেন না বলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন অধ্যক্ষ সহিদুল। সেইসঙ্গে তাদের সম্পর্কের সব তথ্য-প্রমাণ সুকৌশলে তার কাছ থেকে নিয়ে যান তিনি, যোগ করেন ওই তরুণী।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে তার খোঁজখবর না নিয়ে বরং তাকে না চেনার ভান করছেন ওই অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গিয়েও তিনি কোনো আইনি সহায়তা পাননি। এ সময় বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ একাধিক ব্যক্তি অবগত রয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, ‘ওই ঘটনার জন্য আমি আজ গৃহহীন হয়ে পড়েছি। থানা পুলিশের কাছে গিয়েও পাইনি কোনো আইনি সহায়তা। লোক লজ্জায় গ্রামে থাকতে না পেরে বরিশালে এক বড় বোনের বাসায় আশ্রয় নিতে হয়েছে।’

‘সেখানে থেকেই সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছি। আমি তার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চাই’ যোগ করেন ওই তরুণী।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*