প্রধান মেনু

শরনখোলায় মহিলা মেম্বরের বিরুদ্বে ১৮ উপকার ভোগীর চার বছরের চাল আত্মসাতের অভিযোগ !

আলোরকোল ডেস্ক ।।

দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী (রেশনিং কার্ডের) চার বছরের চাল আঠারো জন উপকার ভোগীর মাঝে সরবারহ না করে তা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের শরনখোলার সংরক্ষিত আসনের এক মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্বে।

এ ঘটনায় সম্প্রতি বঞ্চিতদের পক্ষে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ-মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মোসাঃ নাছিমা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দ্বায়ের করে এমন দুর্নীতির বিচার দাবী করেছেন।
অভিযোগ কারী জানান, উপজেলার ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিন তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নজরুল ইসলামের স্ত্রী এবং ওই ইউনিয়নের ১ ,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড়ের (সংরক্ষিত) আসনের মহিলা ইউপি সদস্য আরিফুন্নাহার বিউটি নির্বাচিত হলেও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোন কার্যক্রমে হাজির হন না ।

তার পরিবর্তে স্বামী নজরুল ইসলাম সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন । যা সম্পুর্ন বে-আইনি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী (রেশনিং কার্ডের) আঠারো জন উপকার ভোগীর চার বছরের চাল সরবারহ না করে স্বামী নজরুলের সহযোগীতায় প্রায় ২৬ মেট্রিকটন চাল আতœসাৎ করে তা কালো বাজারে বিক্রি করেছেন ওই মহিলা ইউপি সদস্য ।
পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে রেশনিং কার্ডের তালিকা তৈরীতে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে অন্য এলাকার বাসিন্দা ও প্রবাসী এবং স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের নাম অন্তরভুক্ত করেছেন বিউটি বেগম। এছাড়া তালিকায় নাম অন্তভুক্ত হওয়ার বিষয়টি উপকারভোগীরা অনেকে আদৌ জানেন না, কেউ আবার বসবাস করছেন ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে ।

তার তৈরী করা রেশনিং কার্ডের তালিকার- ৯২১, ৯৫১ , ৮১৩ ,৮৫৫ ,৭৬৩ ,৫০২ ,৪৭৬ নং কার্ডধারী- উত্তর তাফালবাড়ীর রেজাউল হাওলাদার , দক্ষিন তাফালবাড়ীর খগেন্দ্রনাথ মন্ডল ও গৌতম মজুমদার, উত্তর তাফালবাড়ীর ইউনুছ আলী ও মোঃ নাছির হাওলাদার ,বকুলতলার মোঃ ইউনুছ পহলন ও আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের নাম থাকলেও তারা বলেন , এ বিষয়ে কিছুই আমাদের জানা নাই । এমনকি গত ৪ বছরে তারা কোনো চাল উত্তোলন করেননি ।
তবে , এ সকল বিষয়ে ইউপি সদস্য বিউটি বেগম বলেন ,আমি কোনো চাল আত্মসাৎ করিনি । ওই উপকার ভোগীদের চাল গুলো সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত চার বছর যাবৎ অন্যান্য দরিদ্রদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে ।

এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিউটির বিরুদ্বে এটা একটি মহলের চক্রান্ত । এত বছর ওই চাল গুলো অন্য উপকারভোগীদের মাঝে দেওয়া হয়েছে । এখানে কোন অনিয়ম হয় নাই ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্থফা শাহিন জানান , এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি । বিষয়টি ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল হাই কে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । তবে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*