প্রধান মেনু

মোড়েলগঞ্জে বৃদ্ধকে ডেকে নিয়ে গোপনাঙ্গে জখম করলেন দুর্বৃত্তরা

 
এম.পলাশ শরীফ,মোড়েলগঞ্জ ।।

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ভাইজোড়া গ্রামের সুলতান মাঝি(৭০) নামের এক বৃদ্ধকে ডেকে নিয়ে ছুড়ি দিয়ে গোপনাঙ্গে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

গুরুত্বর জখম অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার জিউধরা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে। এলাকাবাসি ও জখমী’র স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, ঘটনার দিন তার স্বামী বৃদ্ধ সুলতান মাঝি সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসা বাজার থেকে পুরাতন বাড়িতে আসার পথিমধ্যে তারই চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী হাজেরা বেগম তাকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির প্রবেশের পথেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা অজ্ঞত দুর্বৃত্তরা।
গলা চেপে ধরে এবং হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গোপনাঙ্গে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাৎক্ষনিক জখমী অবস্থায় তার স্বামী বাড়িতে গিয়ে ডাকচিৎকার দিয়ে লোকজনকে বিষয়টি জানায় এবং ওই রাতেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরের দিন গুরুত্বর জখমী অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি জানান, বৃদ্ধ সুলতান মাঝি ইনজুরি অবস্থায় তার গোপনাঙ্গে ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এখন সুস্থ আছে। সম্পূন্ন সুস্থ্য হতে আরো ২-৩দিন সময় লাগবে।
২৮ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত সুলতান মাঝি ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার চাচাতো ভাইয়েরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এ ঘটনায় আমারা সুষ্ট বিচার দাবি করছি। ওই দিনই ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আমাদের কথা গুরুত্ব না দিয়ে কোন কথাই আমলে নেয়নি।

এদিকে এ ঘটনার দু’দিন অতিবাহিত হলেও ভাইজোড়া গ্রামের ২০ পরিবার এখন আতংকে রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই তারা আর ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। কারো ডাকেও সারা দিবেনা বলে সংবাদকর্মীদের কাছে জানান। অনেক পরিবারের পুরুষ মানুষ কর্মসংস্থানের তাগিদে বাহিরে থাকে বাড়িতে রয়েছে তাদের স্ত্রী, সন্তান পরিজন।
কথা হয় ওই গ্রামের মনজুর আলী মাঝির স্ত্রী মনসুরা বেগম, স্বামী চট্রগামে শ্রমীকের কাজ করে, সৌদি প্রবাসি রিপন মাঝি’র মাতা নূরজাহান ও তার পুত্র বধু তাজনেহা আক্তার, দুজনেই একটি শিশুসহ ৩জনের বসবাস। ফুলভানু বিবি স্বামীর মৃত্যুর পরে একা থাকে বাড়িতে দুই ছেলেশহরে কাজ করেন।

এরা প্রত্যকে এখন আতংকে রয়েছে, সন্ধ্যা হলেই ঘরের দরজা দিয়ে সারা দিচ্ছেনা। স্থানীয়দের দাবি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবি করছেন উর্দ্ধতন প্রশাসনের নিকট। এদিকে হাজেরা বেগম ওই বৃদ্ধকে ডেকে নিয়ে জখম করার সর্ম্পকে কিছু জানেনা এবং শোনেননি।

এ সর্ম্পকে থানা অফিসার ইন-চার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, সুলতান মাঝির বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেননি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*