মোরেলগঞ্জে স্টিমারের কেবিনে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, স্বামীর নদীতে ঝাঁপ
আহত সাবিনা বেগম জানান, ১ বছর পূর্বে মোরেলগঞ্জের কালিকাবাড়ি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের পুত্র ডালিম হাওলাদারের সাথে তার বিবাহ হয়। সে গাজিপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করে। তারা দু’জনই গার্মেন্ট কর্মী।
ঈদের ছুটিতে ভিআইপি কেবেনি ইস্টিমার যোগে স্বামী ডালিম হাওলাদারসহ গ্রামের বাড়িতে আসতেছিলো। স্টিমার এমভি বাঙ্গালী শেষ স্টেশন মোরেলগঞ্জে পৌছানোর ২০ মিনিট আগেই সাবিনা বোরকা পরছিলেন। এ সময় হঠাৎ কেবিনের মধ্যে তার পরিহিত ওড়না দিয়ে স্বামী গঁলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্টিমারে থাকা লোকজন কেবিনের সামনে জড়ো হয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করে। এক পর্যায় কেবিনের দরজা খুলে তার স্বামী দৌড়ে ছাদে গিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। তৎক্ষনিক নদীতে থাকা জেলেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সন্ন্যাসী ফাঁড়ি পুলিশে সোর্পদ করে। পরে ফাঁড়ি পুলিশ মোরেলগঞ্জ থানায় আহত সাবিনা ও ডালিমকে হস্তান্তর করে। সাবিনা আরো জানান, পূর্বে তার স্বামীর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে বাড়িতে তা গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাকে বিবাহ করেছে। সাবিনা বগুড়া জেলার শেরপুর থানার দড়িখাগা গ্রামের আব্দুস ছত্তারের মেয়ে।
এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাস মন্ডল জানান, আহত সাবিনাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং স্বামী ডালিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টায় সাবিনা বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছে। ডালিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
|