প্রধান মেনু

মোরেলগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত -১ আহত -৪

মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি ।।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ইউনেয়নের তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলায় আহত ৪ জনের মধ্যে একজন তিন দিন পরে হাসপাতালে মারাগেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিহত হাইউম খান।

জানাগেছে, গত বুধবার( ৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টার দিকে তেতুলবাড়ীয়া এলাকার পুলিশ সদস্য মো. লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. সোহাগ হাওলাদার (৩০) তার বাহিনীর ১২/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে মো. ফারুক খান (৫২), স্ত্রী মোসা. ফরিদা বেগম (৪৮), ছেলে মো. হাইউম খান(২২) ও মেয়ে হিরা আক্তার(১৯) এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলায় চার জন গুরুত্বর আহত হলে তাদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  অবস্থা আশঙ্খাজনক হওয়া তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে মো. হাইউম খাননের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাইউমেরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তার স্বজনরা জরুরী ভাবে খুলনা সার্জিক্যাল গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে রোববার সকাল ৯ টার দিকে হাইউম মারা যায়।

সরেজমিন গিয়ে কথাহয় দিন মজুর মো. আল আমীন মীর,কুদ্দুস হাওলাদার,আলম মোল্লা,মিলন, পলাশ মজুমদারে সাথে। তারা ঘটনার সময় ঘটনা স্থলের পাশে মাটি কাটার কাজ করছিল। তারা বলেন সোহাগের বাবা একজন পুলিশ, বোন ও বোন জামাই পুলিশ হওয়ায় তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় একটা একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। তার অন্যাইয়ের বিরুদ্ধে কেহ কথাবল্লে তাকে অপমান অপদস্থসহ মারপিট করে।

কয়েকমাস পূর্বে ফারুক খানের বাড়ির সামনের কিছু জমি সোহাগ দখল করে তারকাটা দিয়ে ঘিরে নেয়। এ ঘটনায় ফারুক খান কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য ফারুক খানকে সোহাগ একাধিকবার হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ৪ ফেব্রæয়ারী মামলার তারিখে হাজিরা দিয়ে এসে ৫ ফেব্রæয়ারী সকালে ফারুক খানের ছেলে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরহলে প্রথমে তাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়লে সোহাগ, রাসেল, খলিল খান,আতিকুল খান, সোহাগের স্ত্রী জেসমিন বেগম সহ ১২/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হাইউমকে মারতে শুরু করে।

ছেলেকে মারপিট করায় তাকে উদ্ধারের জন্য বাবা ফারুক খান, মা ফরিদা বেগম ও বোন হিরা আক্তার আসলে তাদেরকেও মারপিট করে। সন্ত্রাসিরা এসময় দুটি মোবাইল, একটি ঘড়ি ও হিরার গলায় থাকা ২ ভড়ি ওজনের একটি হার নিয়েযায়।

এ ঘটনায় পুলিশ মো. এমদাদ খানের ছেলে রাসেল খানকে আটক করেছে। থানা ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন মৃত্যুর ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রাসেল খানকে আটক করা হয়েছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*