প্রধান মেনু

মোরেলগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি ।।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি চাল আত্মস্বাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নের ৩ জন সদস্য বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে জানাগেছে, উজেলার জিউধরা ইউনিয়ন পরিষদের ২৬৫ জন ভিজিডি কার্ড ধারিদের গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস ৪ মাসের চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে তিন মাসের ৯০ কেজি চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। এর মধ্যে অনেকে আবার চাল পাননি। এমনই এক কার্ডধারি রাশিদা বেগমের কথা হয় এ প্রতিনিধির সঙ্গে। তিনি বলেন ৮ মে তিন মাসের চাল দিয়েছে।

আমি ওই দিন বাড়িতে নাথাকার কারনে পড়ে চাল আনতে গেলে চাল দেয়নি। আমার চাল অন্য মানুষকে দিয়ে দিছে বলে চেয়ারম্যান আমাকে জানান। ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম মৃধা, আরিফুল কবির বাচ্চু জানান, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশা ৪ মাসের চাল তুলে ৩ মাসের চাল দিয়েছে।

অপর দিকে কার্ড ধারিদের কাছ থেকে ১ শ ৫০ টাকা করে আদায় করেছে বলে জানান। আদায় কৃত টাকা শিমূল মেম্বর চাল পরিবহন খরচ বাবদ নিয়েছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শিমুলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ওই দিন উপজেলা পরিষদে জরুরী কাজে গিয়েছিলাম আপনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন। আমি কিছু জানিনা ।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. শাহ-ই আলী বাচ্চু বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসারকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোক করে কথাবলা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার মৃলেশ কান্তি মজুমদার বলেন চাল দেয়ার দিন আমি ছিলাম। পুরাতন এবং নতুন কার্ড সংমিশ্রন হওয়ায় চেয়ারম্যান ৩ মাসের চাল দিয়েছে। তবে অনিয়মের কোন চিত্র আমার চোখে ধরা পড়েনি।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে জানাগেছে, গত ২১ মে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন ও শহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যানের চাল আত্মস্বাতের অভিযোগ দেয়ার ফলে ২৩ মে চেয়ারম্যান তার ইউনিয়নের ৪ মেট্রিক টন কাবিখা এবং অপর এক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৪ মেট্রিক টন কাবিখা’র চাল নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিষদের গুদামে মওজুত করে রাখেন। বিষয়টি স্বিকার করেছেন খাদ্য পরিদর্শক এস এম মোহেব্বুল্যাহ।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ্য থাকায় চাল বিতরনে দেরি হয়েছে। আগামি রোববার চাল বিতণ করব। আপনাদের দাওয়াত থাকল। ১শ ৫০ টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে বলেন টাকা তুলে মেম্বররা নিয়েছে চাল পরিবহন খরচ বাবদ।
অভিযোগের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এ বিষয় ইউএনও মো. কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দিনকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন তিনি ছুটিতে থাকায় বিষয়টি তার জানা নেই।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*