প্রধান মেনু

মোংলা বন্দরে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা জনতা ব্যাংকের হয়রানীর শিকার

মোংলা প্রতিনিধি ।।
মোংলা বন্দরে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে। জনতা ব্যাংক মোংলা পোর্ট শাখার ওই ব্যবস্থাপক ভারতীয় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৩০ কোটি টাকার চেক নানা তালবাহনায় অনুমোদন না দিয়ে অহতেুক হয়রানীর করছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতীয় কোম্পানীটি অর্থ ছাড়ের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলেও দীর্ঘ প্রায় এক মাসেও ৩০ কোটি টাকার চেক অনুমোদন না পাওয়ায় তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবী করেছেন।

এ নিয়ে দফায় দফায় ব্যাংকটির মোংলা পোর্ট শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া’ ও জয়েন্ট ভেনসার ‘প্রায়তি কুশল সি-ঈগল’ ড্রেজিং জেভি”র প্রতিনিধি বি. ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি অনুযায়ী গত ৩০ জুন মোংলা বন্দরের জেটি থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজ শেষ করেছেন তারা।

নিয়মানুযায়ী তারা এ কাজের অর্ধেক বিল দেশীয় মুদ্রায় এরই মধ্যে পেয়েছেন। কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে আর্ন্তুজাতিক মুদ্রার (ডলার) টাকার অর্ধেক বিল নিয়ে। এ বিল ছাড় করাতে তাদের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ তাদের ৩০ কোটি টাকার একটি চেক নিয়ে নানা রকম তালবাহানা করছেন মোংলা পোর্ট শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল হামিদ শেখ। তিনি তাদের চেক দিতে গত কয়েকদিন ধরেই হয়রানি করছেন।

বি. ঠাকুর আরো বলেন, আমরা সব রকম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েও এ চেক অনুমোদন পাচ্ছিনা, কেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক এমন করছেন তা নিয়ে তাদের কাছে রহস্য মনে হচ্ছে। চেক অনুমোদন না পাওয়ায় আমরা লেবারদের বিল পরিশোধসহ আনুসাঙ্গিক খরচও দিতে পারছিনা।

এ বিষয়ে ব্যাংককের মোংলা শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল হামিদ শেখ বলেন, নিয়ম অনুসরণ করেই আমরা চেক ছেড়ে দেব।
এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমরা ভারতীয় ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ চেক প্রদাণ করেছি।

ব্যাংক কি কারণে হয়রানী করছে এ বিষয়ে ব্যাংকের সাথে আমাদের হিসাব বিভাগ যোগাযোগ রাখছে। যদি অহতেুক হয়রানী করে থাকে তাহলে ব্যাংকের উর্ধতন মহলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ। যাতে বন্দর ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্টরা হয়রানীর শিকার না হয়।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*