প্রধান মেনু

মোংলা বন্দরে পশুর চ্যানেলে শুল্ক এলাকার বাহিরে পণ্য খালাস নিয়ে তোলপাড়

     

আবু হোসাইন সুমন ।।

মোংলা বন্দরে পশুর চ্যানেলের শুল্ক এলাকার বাহিরে পণ্য খালাস নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে পণ্যবাহী ‘এমভি এনা ড্রাগন’ জাহাজটির ফিটনেস নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। ঝুঁকিপূর্ন এই জাহজটি মোংলা বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে এরিমধ্যে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, দূর্ঘটনা এড়াতে বন্দরের পশুর চ্যানেলে ফের এই ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ না আনার জন্য সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মের্সাস এটলাস শিপিং এজেন্টের খুলনা এরিয়ার ম্যানেজার মোঃ রাসেল বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে ‘এমভি এনা ড্রাগন’ জাহাজটির ব্যাপারে অনেক অভিযোগ আছে বলেও তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজন হলে এই জাহাজে করে আর কোন পণ্য এ বন্দরে আনবো না।
গত ১১ ডিসেম্বর ৯ হাজার মেট্টিক টন পাথর নিয়ে ভারত থেকে ছেড়ে আসা জাহাজ ‘এম,ভি এনা ড্রাগন শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ পণ্য খালাস করা হতে পারে বলেও জানান রাসেল।
ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠায় সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী ওই জাহাজটি থেকে পণ্য খালাস করে বন্দর ত্যাগে আপত্তি জানিয়েছে নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর। খুলনাস্থ নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক মোঃ আবুল খায়ের বলেন, রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে জাহাজটি সার্ভে না করা পর্যন্ত এটি এ বন্দর ত্যাগ করতে পারবেনা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এ বন্দরে আসছে ‘এমভি এনা ড্রাগন’। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে জাহাজটি এ বন্দরে একাধিকবার দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এ কারণে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এই জাহাজের পূর্বের শিপিং এজেন্ট ‘জিসি শিপিংয়ের’ কর্মকর্তাদের এই জাহাজ না আনার জন্য সতর্ক করে দেয়।
এ ব্যাপারে জিসি শিপিংয়ের প্রতিনিধি এস এম জহির আলম বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি না আনার বিষয়ে আমাদের অবহিত করেছে। বন্দর জেটি ও চ্যানেলে দূর্ঘটনার আশংকা থাকায় আমরা জাহাজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
এদিকে পশুর চ্যানেলের যে এলাকাটিতে পাথর নিয়ে ‘এমভি এনা ড্রাগন’ ভিড়েছে সে এলাকাটি কাস্টমসের শুল্ক এলাকা না বলে একাধিক বন্দর ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন। মের্সাস নুরু এন্ড সন্সের মালিক হোসাইন মোহাম্মাদ দুলাল জানান, কাস্টম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই শুল্ক এলাকার বাহিরে পণ্য খালাস করছে পণ্য আমদানীকারকেরা।
এ বিষয়ে ‘এমভি এনা ড্রাগন’ জাহাজের কাস্টমস’র প্রিভেন্টিভ অফিসার (পিও) রাবিদা রহমানের বলেন, ‘এমভি এনা ড্রাগন’ পশুর চ্যানেলের যেখানে পণ্য খালাস করবে সেটা আমাদের শুল্ক এলাকা কিনা আমি নিশ্চিত নই। তবে কেন পণ্য খালাসে অনুমতি দিলেন জানতে চাইলে কাস্টমসের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কর্তৃপক্ষ বলেছে তাই পণ্য খালাসের অনুমতি দিয়েছি। #





উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*