প্রধান মেনু

মোংলায় সরকারী চাল জব্দ ! জড়িতদের আটক নিয়ে চালবাজী

 

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ।।
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ ও খাদ্য অধিদপ্তরের সীল সম্বলিত সরকারী চাল জব্দ ও জড়িত ব্যক্তিদের আটক নিয়ে চলছে চালবাজী।

mde

               উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষনিক ৮০ বস্তা চাল জব্দসহ এর সাথে জড়িত এক নারীকে আটকের নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে চাল জব্দ ও ওই নারীকে আটক করা হয়নি।

উল্টো চাল পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আটক ও চাল জব্দ না করেই স্থানীয় ইউপি মেম্বরের জিম্মায় দেয়া হয়। সরকারী চাল জব্দ ও জড়িতকে আটক নিয়ে চালবাজীর এ ঘটনাটি ঘটেছে মোংলার উত্তর চাঁদপাই গ্রামে।

সরকারী চাল পাচার ও মজুদের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মোংলা শহরতলীর উত্তর চাঁদপাই এলাকায় অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাস্থল থেকে ৮০ বস্তা চাল জব্দ এবং ঘটনাস্থলে এক নারীকে পাওয়া গেলে তাকে আটকের নির্দেশ দেন ইউএনও মোঃ রাহাত মান্নান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ চাল দুর্গন্ধযুক্ত, তবে এ চাল কোনভাবেই মাছ কিংবা পশু খাবার হিসেবে ব্যবহার ও বেঁচা কেনা যাবে না।

যেহেতু দুর্গন্ধযুক্ত সেহেতু এগুলো ডাম্পিং করা কথা। তারপরও এ চাল কিভাবে এখানে এসেছে কে বা কাহারা এনেছে তা পুলিশ তদন্ত করে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিবেন।
             তবে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মোঃ আহাদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ না করায় থানায় সাধারণ  ডায়েরী হয়েছে। আর চাল ওই মহিলার জিম্মায় রয়েছে।

এদিকে চাল পাচারের ঘটনায় ইউএনও মোঃ রাহাত মান্নান মোংলা সরকারী খাদ্য গুদামের ইনচার্জ মো: মমিনুল ইসলামকে বাদী হয়ে থানায় মামলা করার কথা বললেও মামলা তিনি মামলা দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: মমিনুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া আমি কিছুই করতে পারবো না।
চাল পাচারের সাথে জড়িত উজ্জল ফকির (৩২) এবং তার মা পেয়ারা বেগম (৫০) বলেন, পৌর শহরের ফেরিঘাট সংলগ্ন জনৈক ফারুক ডিলারের বার্জ (নৌযান) হতে তারা এ চাল কিনে এনেছেন। চাল কিনে তারা উত্তর চাঁদপাই গ্রামের বাবুল শেখের নির্মাণধীন ভবনের ভিতরে রাখেন এবং চাঁদপাই মাজারের সামনের একটি দোকানে এ চাল বিক্রিও করেন।

তবে ফেরিঘাট সংলগ্ন যে নৌযান থেকে এ চাল পাচার করা হয়েছে রহস্যজনক কারণেই সেখানেও কোন অভিযান চালায়নি প্রশাসন। নৌযানে অভিযান না চালানো, নৌযান হতে জিজ্ঞাসাবাদে কাউকে আটক না করা, চাল পাচারকারী চক্রের সদস্যকে হাতে নাতে পেয়েও ছেড়ে দেয়া এবং চাল জব্দ না করার বিষয়টি শহর জুড়ে ব্যাপক গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে। 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*