প্রধান মেনু

মঠবাড়িয়ায় ভারী বর্ষণে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিন্মাচাপের প্রভাব ও জোয়ারের তোরে এবং দু’দিনের অব্যাহত টানা ভারী বর্ষণে পৌর শহর ও ১১ ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের ফসলী জমির উপশী পাকা ধান ও বসত বাড়ি ৪ থেকে ৫ ফুট পানির নীচে। এতে উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণে গ্রামিন রাস্তা-ঘাট, বসত বাড়ি, পানিতে ডুবে থাকায় অনেক পরিবারের রান্না-বান্ন বন্ধ হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এ দিকে অতিরিক্ত জোয়াারের পানিতে পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর, থানাপাড়া, সবুজ নগর, মিরুখালী রোড ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে শহরের দশ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পৌরসভার ৪/৫টি টিম নিয়ে পানি অপসারণ কাজ শুরু করেন। পৌরবাসীর অভিযোগ অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও দক্ষিণ বন্দর-কেএম সুপার মার্কেট স্লুইজ গেট সরু হওয়ায় প্রতি বছরই এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখাযায়, মঠবাড়িয়ার বিভিন্ন গ্রামের ফসলী জমির রোপনকৃত উপশী পাকা ধান ৪থেকে ৫ ফুট পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। এছাড়া বলেশ^র নদ তীরবর্তি মাঝেরচর, খেতাচিরা, উলুবাড়িয়া, ভোলমারা, খেজুরবাড়িয়া, পশ্চিম মিঠাখালী ও মিরুখালী, রাজারহাট বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে পানি উপচে প্লাবিত হয়ে এলাকাবাসী পানি বন্দি হয়ে পরেছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৫ হেক্টর জমির ৪৫টি ঘের ও ৩০৫টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের তরুন কৃষক নুরুল আমিন রাসেল জানান, কৃষি জমির মাঠ লন্ড ভন্ড। পাকা ধান পানির নীচে তলিয়ে আছে। পানি অপরসারণের কোন উপায় নাই। এতে কৃষকদের অপূরনিয় ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বশির আহমেদ বলেন, ভারী বর্ষন ও অতি জোয়ারের তোরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি বন্দি এলাকাবাসীকে সুকনো খাবার ও নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস জানান, পৌর শহরের জলাবদ্ধতার নিরসনে তাৎক্ষনিক নির্বাহী প্রকৌশলি আবদুস সালেক এর নেত্রিত্বে ৪/৫টি টিম কাজ করে যাচ্ছে।

ইসরাত জাহান মমতাজ
মঠবাড়িয়া






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*