প্রধান মেনু

মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল আমেনা

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ।।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা আক্তার সাথী (১১) বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে মিরুখালী গ্রামে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আকতার পুলিশের সহযোগিতায় কনের বাড়িতে হানা দিলে কনেসহ বর পক্ষ বিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম এর মধ্যস্থতায় কনের মা দুলিয়া বেগম ফিরে এলে এ বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

পরে তার কাছ থেকে আমেনার বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না-দেওয়ার সর্তে মুচলেকা নেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরুখালি ইউনিয়নের নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের জালাল হাওলাদারের মেয়ে স্থানীয় ফজিলাতুন্নোছ কামিল মাদ্রসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আমেনা আক্তার সাথির সাথে মিরুখালী গ্রামের আবদুর রব হাওলাদারের ছেলে প্রবাসি রফিকুল ইসলামের (৩৮) এর সাথে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে ঠিক হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বর যাত্রী কনের বাড়িতে চলছিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এসময় বাড়িতে হাজির হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আকতার ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাহনাজ পারভিন ও স্টেপস ট্য়ুার্ডস্ উপজেলা সমন্বয়কারী ইসরাত জাহান মমতাজ। এসময় তাদের উপস্থিতি টেরপেয়ে বরযাত্রী ও কনে পক্ষ পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যর মধ্যস্থতায় কনের মা ফিরে এসে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না-দেওয়ার সর্তে মুচলেকা নেওয়া হয়। এসময় ঘটনা স্থল থেকে বর পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর পক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি তবে মেয়ের মার কাছ থেকে ওই ছাত্রীকে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বিয়ে দেবেন না বলেও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের দায়িত্বে ছেড়ে দেওয়া হয়।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*