প্রধান মেনু

পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়ায় কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশন শিক্ষকদের বিরোধ চরমে! ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি প্রধান শিক্ষক

 

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনে কোভিড-১৯ এ ৫৪৪দিন পর প্রতিষ্ঠানটি খোলার প্রথম দিন প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক শক্ত অবস্থানে থাকায় ক্যাম্পাসে প্রথম দিনে ঢুকতে পারেননি প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিকে বিদ্যালয়ের উদ্বুদ্ধ এ পরিস্থতিতে একে অপরকে দায়ী করে রবিবার উভয় পক্ষ পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দু’গ্রুপ শক্ত অবস্থানে থাকায় বিদ্যালয়ের প্রায় আঠার‘শ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

জানাযায়, গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনে ২০১৭ সালে মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন, অর্থ আত্মসাৎ, দূনীতি অভিযোগে দুরত্ব সৃষ্টি হয়।

গত ২০২০ সালে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের তুমুল আন্দলন চললেও করোনা ছুটিতে তাদের কর্মসূচি স্তগিত হয়। করোনায় ১৭ মাস (৫৪৪) দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার খোলার দিনে একে অপরকে দায়ী করে পল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিদ্যালয় ডুকতে না পেরে রবিবার বিকেলে শহরের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, মহামারী করোনার দীর্ঘ ছুটি বিদ্যালয় খুললেও সেদিন আমি বিদ্যালয় ডুকতে পারিনি।

এটা আমার কাছে কষ্টের এবং রক্ত ক্ষরণের। সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আমাকে অপসারণ করে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার অপচেষ্টা করছেন। যা অত্যান্ত নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক। তিনি আরও জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় শিক্ষকের হুমকির কারনে তিনি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেননা এবং নিরাপত্তার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে অনত্র বসবাস করছেন।

অপর দিকে রবিবার রাতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে ২৯জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে বিদ্যালয়ের তহবিল তছরুপ, নগদ দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দূনীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, ২০২০ সালের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। এরপর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘিœত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) বশির আহমেদ জানান, কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন ব্যক্তিগত বিষয়। প্রধান শিক্ষক মোস্তফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে। যাথাযথ কতৃপক্ষ তাঁকে অব্যাহতি দেননি সেহেতু তাঁর বিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার অধিকার রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত।

ইসরাত জাহানস মমতাজ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*