প্রধান মেনু

বছরের রেকর্ড পরিমাণ

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলার নিম্নাঞ্চলসহ সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের

মোংলা প্রতিনিধি ।।
বছরের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলা পৌর শহর ও শহরতলীর নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বসত বাড়ী। বৃষ্টির পানি নামার সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগের পড়েছেন বিশেষ করে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব কবরস্থান এলাকার বাসিন্দারা।

এ এলাকার রাস্তা ও বসত বাড়ীতে দেড় দুই হাত পানি জমে রয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বসত ও রান্না ঘরে। তাই রান্না বন্ধ হয়ে গেছে কবরস্থান রোডের বাসিন্দাদের। পৌর শহরের আব্দুল বাতেন সড়ক, মিয়াপাড়া, জয়বাংলা, মাদ্রাসা রোড, বটতলার মুসলিমপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।

এদিকে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বিরামহীন মুষল ধারার এ বৃষ্টি হয় শনিবার দুপুর পর্যন্ত।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও ভারী বৃষ্টিতে বাড়ী-ঘর, রাস্তাঘাট, পুকুর ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। প্রচন্ড ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: তৌহিদুর রহমান।
আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে শনিবার মোংলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬০ মি:মি:।
এছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সার, ক্লিংকারসহ ১১টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠা নামার কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও মেসার্স নরু এন্ড সন্স কোম্পানীর মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, আমার কোম্পানীর অনুকূলে বর্তমানে বন্দরে দুইটি সারবাহী জাহাজ রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছি।

উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পূর্ব রাজস্থান এবং তৎসংলগ্ন হরিয়ানায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় আরো মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*