প্রধান মেনু

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

বিএনপির আমলে মোংলা বন্দর ছিল ঘাসবন…কেসিসি মেয়র

মোংলা  প্রতিনিধি ।।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন চত্বর থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাংসদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির আমলে মোংলা বন্দরে কোন কাজ হয়নি, বন্দরকে ধ্বংস করার জন্য সকল ধরণের পরিকল্পনাই করেছিল তারা। চাঁদাবাজীর ভয়ে কোন ব্যবসায়ী আসতো না এই বন্দরে, কোন শিল্প কল-কারখানাও হয়নি তখন।

তখন এ বন্দর ছিল শুধু ঘাসবন। বিএনপির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকালীন সময়ে নাব্যতা সংকটে এই বন্দরে কোনদিন ড্রেজিংও হয়নি। কারণ এই অঞ্চল এবং এই বন্দরের প্রতি কোন দরদ ছিলনা তাদের।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই বন্দরকে নতুনভাবে প্রাণ দিয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, আর্ন্তজাতিকভাবে এই বন্দর এখন সফলতা অর্জন করেছে। এর অবদান শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেও বক্তৃতায় উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বন্দরের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের

মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনসহ বন্দরের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বন্দর ব্যবহারকারীদের আরো উৎসাহিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ‘সর্বোচ্চ পণ্য হ্যান্ডিংয়ে’র জন্য মেসার্স এ হক চৌধুরী এন্ড সন্স কোম্পানীর মালিক মোঃ ওহিদুর রহমানকে সম্মাননা স্মারক প্রদাণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ বেগম হাবিবুন নাহার।

এছাড়া আমদানী-রপ্তানীতে বিশেষ অবদানের জন্যও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সন্মাননা স্মারক প্রদাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে প্রীতিভোজের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিকেল থেকে শরু হয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। #






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*