বাগেরহাটের মৎস্য আড়তে ইলিশে সয়লাব, নেই সাগরের শীতকালীন মাছ
মাসুম হাওলাদার বাগেরহাট ।।
শীতের এই সময়ে সাধারণ ইলিশ মাছ তেমন পাওয়া যায় না। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম ভেঙ্গে বাগেরহাট কেবি বাজার পাইকাড়ি মোকামে এখন ইলিশে সয়লাব। বিভিন্ন সাইজের ইলিশের দামও নাগালের মধ্যে। অসময়ে বাজারে ইলিশের প্রাচুর্যতা থাকলেও শীতকালীন মৌসুমে সাগরের অন্যন্যা মাছ তুলনা মূলক অনেক কম দেখা গেছে। ক্রেতাদেরও ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। যে যার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করছেন সাধ্যমত। বাগেরহাট কেভিবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এই চিত্র দেখা গেছে।
সাগর থেকে মাছ নিয়ে আসা ট্রলার মালিক সুজন বলেন, শীতের সময়ে সাধারণত মাছ কম পাওয়া যায়। কিন্তু এবার শীতের মৌসুমে প্রচুর মাছ পাচ্ছি আমরা। গেল দশ বছরের তুলনায় এবছর শীতে সব থেকে বেশি মাছ পেয়েছি। সাগরের গভীর পানির থেকে কম পানিতে মাছ চলাচল বেশি হওয়ায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলশ ধরা পড়ছে।
মাছ ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান বলেন, শীত মৌসুমে সাগরের ঢেলা, চেলা, মেদ, কঙ্কনসহ অন্যান্য মাছ অনেক কমে গেছে। ইলিশ মাছ অনেক বেশি পাওয়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে।
মাছের আকার ছোট হলেও মাছগুলোর পেটে ডিম রয়েছে। ৪‘শ থেকে ৬‘শ গ্রামের প্রতিকেজি মাছ সাড়ে ৩‘শ থেকে ৪‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা আজমল ও শহিদুল ইসলাম বলেন, ইলিশের মৌসুমের সময়ের চেয়ে বর্তমানে মাছের দাম অনেক কম। আড়তে মাছও বেশি। একসাথে একটু বেশি কেনায় দামও কম পড়েছে। বাংলাদেশ আওযামী মৎস্যলীগ এর য়ুগ্নআহবায়াক জনাব টিপু সুলতান বলেন শীতের এই সময়ে সাধারণ ইলিশ মাছ তেমন পাওয়া যায় না কিন্তু সরকারের সচেতনতা মূলক কার্যক্রম ও বিভিন্ন সময় ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকলে ইলিশের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিবছর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করেন ।
বাগেরহাট কেবি বাজার মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আবেদ আলী বলেন, এবারের শীতের মৌসুমে তুলনামূলখ ইলিশের আমদানি অনেক বেশি। ইলিশ বেশি হওয়ায় জেলে, ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সবাই খুশি। বাগেরহাট আড়তে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায়ও যাচ্ছে আমাদের আড়তের ইলিশ মাছ।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বলেন, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে সমুদ্রে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে জেলেদের জালে বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে।#