প্রধান মেনু

এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে

ঐতিহ্য হারাতে বসেছে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজটি

 

“দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ। বিগত কয়েক বছর ধরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে কলেজটি। এ বছরও মোট পরীক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ফেল করেছে।”

পিরোজপুর জেলা শহরে ১৯৫৭ সালে স্থাপিত সরকারি সোহরাওায়ার্দী কলেজটি স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই সুনামের সাথে পিরোজপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। এ কলেজ থেকে পাশ করা অনেক শিক্ষার্থী দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানেও দেশ বিদেশে অনেকেই দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজটির এই সফলতার হাত ধরে সেখানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স খোলা হয়েছে।

এছাড়া বহুতল অনেকগুলো ভবন তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন রং বেরংয়ের ফুলের গাছ ও মনোরম পরিবেশ দিয়ে সাজানো হয়েছে কলেজটি। তবে প্রায় এক যুগ ধরে এই কলেজটির উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপকভাবে ধস নেমে এসেছে। প্রতি বছরই পাসের প্রায় সম সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করছে। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছর এই কলেজ থেকে ৬৪৯ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র ৩৬৯ জন (৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। আর জিপিএ- ৫ পেয়েছে ছয়জন।

অন্যদিকে নিজেদের সুনাম ধরে রেখেছে পিরোজপুর সরকারি বালিকা কলেজ। এই কলেজ থেকে এ বছর ৬১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ পাশ করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন।

পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী, স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও শিক্ষানুরাগীদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এত বিপর্যয় হয়েছে।

তবে কলেজটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি কলেজে নিয়মিত ক্লাস হয়। তবে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত কলেজে উপস্থিত না হওয়ায়, তাদের ঠিকমত পাঠদান করানো যাচ্ছে না। তাই এইচএসসি পরীক্ষায় ফেলের হারও বেশি।

তবে ফেলের হার কমিয়ে আনার জন্য বিবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ। তবে সচেতন মহলের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষানুরাগী ও কলেজ কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে কলেজটি তার পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*